আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
নাসির উদ্দিন পরীমণির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ দিন কারাগারে ছিলেন।বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসা থেকে র্যাব পরীমণিকে আটকের পর গণমাধ্যমকে মামলার প্রস্তুতির বিষয়টি জানান নাসির।
নাসির উদ্দিন বলেন,পরীমণির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করব। প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার (পরীমণি) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে।’
এরআগে বিকেল থেকে পরীমণির বাসার সামনে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে ভেতরে ঢোকে তারা। পরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীমণির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু মাদক দ্রব্য ও মদ পাওয়া গেছে।
র্যাব ও পুলিশের সদ্যরা যখন পরীমণির বাসার সামনে অবস্থান নেন তখন এ ঘটনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন তিনি।
লাইভে পরীমণি বলেন,শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কি করবো। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। তাহলে আমাকে পরিচয় দিতে হবে। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরোজা খুলবো।
তিনি বলেন, আমার বাসার গেটে এসে তারা দরোজা ধাক্কাচ্ছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলছেন, তারা পুলিশ। আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। ওসি হারুণ ভাইকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। দরোজা খুলতে পারো। আমি বলেছি আপনি কনফার্ম না করলে আমি দরোজা খুলবো না।
গত ১৩ জুন প্রথমে ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
এর পরদিন নাসির উদ্দিন, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডিবি পুলিশ। পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ১৫ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পান।
সূত্র: সমকাল।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন