নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী টিকা নিতে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। টিকা গ্রহীতার তুলনায় মাত্র একটি বুথে টিকা প্রদান করায় দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে। ফলে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ভোগান্তিও বাড়ছে টিকা গ্রহীতাদের।
এদিকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে গাদাগাদি করে অনেকেই কোভিড-১৯ টিকা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর প্রথম দিক থেকে উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার আগ্রহ ছিল না। কিন্তু ইদানিং সারা দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় যারা এর আগে টিক নেননি তারা দ্রুত টিকা নেয়া শুরু করে দিয়েছেন।
বানিয়াচংয়ে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় কিছুটা ভয়ে টিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ। টিকা নিতে কেউ সরকারের দেয়া অনলাইনের সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে টিকার নিবন্ধন করে নিবন্ধনের কপি নিয়ে হাসপাতালে হাজির হচ্ছেন। আবার অনেকেই নিবন্ধন করার পর এসএমএস পেয়ে টিকা নিতে ভিড় করছেন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
এ অবস্থায় টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় টিকা প্রদানে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার বেলা এগারটায় বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। টিকা গ্রহীতারা আগে থেকেই কেন্দ্রের সামনে ভিড় করে আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিশাত রহমান করোনার টিকাদান কল্পে সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন টিকা গ্রহীতাদের। নিশাত রহমান করোনার মহামারি শুরু থেকেই একজন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নিবন্ধন করা থেকে শুরু করে টিকা দেয়া পর্যন্ত নার্সদের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন নিশাত রহমান।
এই বিষয়ে নিশাত রহমান জানান, টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে অনেকে কার্ড নিয়ে চলে আসছেন।
যার কারণে ভিড় হচ্ছে। আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যারা টিকা গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট দিনের ম্যাসেজ পেয়েছে,তারাই শুধু টিকা নিতে আসবে। কিন্তু অনেকে তা শুনছেন না, যার কারণে টিকা নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল মোট ৩১৪ জন টিকা নিয়েছেন । এদের মধ্যে ১৮৭ জন পুরুষ আর ১২৭ জন মহিলা।
টিকা নিতে আসা গৃহবধূ আসমা বেগম ও রাবেয়া খাতুনের সাথে কথা হলে তারা জানান,২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নিলাম। এতো ঝামেলার পরও যে টিকা নিতে পেরেছি খুব ভালো লেগেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডা. শামিমা আক্তার সিলেটটুডেকে জানান,আগের তুলনায় টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। সরকার বয়সসীমা ২৫ করার পর মানুষের মধ্যে আগ্রহ আরও বেড়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে ধৈর্য ধরে দাঁড়ালে সবাইকে আমরা টিকা দিতে পারব।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন