• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খালিকের নেপৈথ্যে ব্যাবস্থাপত্র জালিয়াতির অভিযোগ

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুলাই ৩১, ২০২১
কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খালিকের নেপৈথ্যে ব্যাবস্থাপত্র জালিয়াতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্ট :: অনিয়ম এবং দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এবার এই হাসপাতালের এক উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (স্যাকমো) বিরুদ্ধে উঠেছে ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) জালিয়াতির অভিযোগ।

অভিযুক্ত ওই উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের নাম আব্দুল খালিক। রোববার তার বিরুদ্ধে প্রেসক্রিপশন জালিয়াতির অভিযোগ এনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কালাইরাগ ইসলামাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রবের স্ত্রী ফুলবানু বেগম।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে,চলতি বছরের ২৫ জুন জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন ফুলবানু বেগমের ছেলে কামাল আহমদ ও জামাল আহমদ।

ওই দিন বিকেলে আহতবস্থায় কামাল ও জামালকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার লুৎফুর রহমান। জামাল ও কামালের অবস্থা গুরুতর দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কামাল আহমদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করে একটি ব্যবস্থাপত্র দেন কর্তব্যরত লুৎফুর রহমান।

ব্যবস্থাপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয় ৯৭৭।রেজিস্ট্রার খাতায়ও একই নম্বরে লিপিবদ্ধ হয় কামালের নাম।

এ ঘটনার ৪ দিন পর কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল খালিক অনৈতিকভাবে কামালের প্রতিপক্ষ সাইদুল ইসলাম ও সালমা বেগমের নামে দুটি ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন।

২৯ জুন লিপিবদ্ধ হলেও ওই দুটি ব্যবস্থাপত্রে ৪ দিন আগের তারিখ উল্লেখ করা হয়।

২৫ জুন অর্থাৎ যেদিন কামাল ও জামাল আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলেন, ওই তারিখটি উল্লেখ করা হয় সালমা ও সাইদুলের দুটি ব্যবস্থাপত্রে।

রেজিস্ট্রার খাতায় ২৫ জুনের পৃষ্ঠায় ছোট ছোট অক্ষরে লিখা হয় সাইদুল ও সালমার নাম। আহত না হয়েও আব্দুল খালিকের সাথে আঁতাত করে তারা ভুয়া ব্যবস্থাপত্র বাগিয়ে নেন।

অথচ তারা আহত হননি এবং ২৫ জুনের সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ওই ভুয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ১ জুলাই সিলেটের আদালতে মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রবের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সালমা বেগম।

অভিযুক্ত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল খালিকের সাথে এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে অবগত আছেন এবং পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন