• ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে ৯ভরি স্বর্ণসহ পুলিশের খাঁচায় প্রেমিক যুগল

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুলাই ২৬, ২০২১
বিশ্বনাথে ৯ভরি স্বর্ণসহ পুলিশের খাঁচায় প্রেমিক যুগল

বিশ্বনাথ সংবাদদাতা :: সিলেটের বিশ্বনাথে ৯ভরি স্বর্ণালংঙ্কারসহ দুই সন্তানের জননী তানিয়া বেগম (২৮) ও সুহেল রানা (৩০) নামের এক প্রেমিক ঝুটিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তানিয়া উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামের মৃত ওলিউর রহমানের পুত্র আমিনুর রহমানের স্ত্রী ও প্রেমিক সুহেল রানা (৩০) মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার খালিন্দা গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।

১৯ জুলাই সন্ধ্যায় প্রেমিক সোহেল রানার বসতবাড়ি থেকে প্রেমিক ঝুটিকে আটক করেন এসআই অলক দাস। উদ্ধার করা হয় আনুমানিক ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, তাদের দুজনের পরিচয় মোবাইল ফোনে। এক পর্যায়ে এ পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। দীর্ঘদিন ধরে চলছিল মন দেয়া-নেয়া। পরে ঘর বাঁধার রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন দু’সন্তানের জননী তানিয়া। কিন্তু সে স্বপ্ন ভেঙ্গে দিল বেরসিক পুলিশ। পালিয়ে যাওয়ার ৯ দিনের মাথায় প্রেমিক সুহেল রানাসহ দুজনকে আটক করে পাঠানো হয় জেলহাজতে।

১১ই জুলাই ভোরে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামের আমিনুর রহমানের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী তানিয়া বেগম (২৮), তার প্রেমিক এক সন্তানের জনক সোহেল রানার হাত ধরে ঘর ছাড়েন। হোটেলবয় সোহেল রানা মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার খালিন্দা গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।

এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় স্ত্রী ‘নিখোঁজ’ ডায়েরি করেন আমিনুর রহমান। তদন্তে নেমে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই অলক দাস ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় প্রেমিক সোহেল রানার বসতবাড়ি থেকে প্রেমিক ঝুটিকে আটক করেন। উদ্ধার করা হয় আনুমানিক ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। পরদিন ২০ জুলাই ৫৪ ধারায় সিলেট আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন,মেয়েটি ইচ্ছে করেই তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। দুজনকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন