কোরবানি ঈদ সামনে রেখে একসাথে অনেক মাংস সংরক্ষণ করা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। সঠিক পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে এসব মাংস তাজা, স্বাস্থ্যকর ও খাওয়ার উপযোগী থাকে না। মাংস সংরক্ষণের অন্যতম বড় একটি উদ্দেশ্য হলো মাংস জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখা। কেননা সংরক্ষণ করা মাংসে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এ বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে। আসুন মাংস সংরক্ষণের কিছু টিপস জেনে নিন-
ডিপ ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ
সবচেয়ে সহজতম উপায় হচ্ছে ডিপ ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করা। ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ অনেকটা নির্ভর করে মাংস কাটার ধরন বা পদ্ধতি, প্যাকেজিংয়ের ধরন এবং অবশ্যই মাংসের সতেজতার ওপর। তবে ফ্রিজে মাংস রাখার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
• মাংস সংরক্ষণের সময় প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার না করে গ্লাস বা অনমনীয় প্লাস্টিকের পাত্রে মাংস রাখুন
• সবসময় রেফ্রিজারেটরের নিচের অংশে মাংস রাখুন। নিচের অংশের ঠাণ্ডা তাপমাত্রা মাংসে ব্যাকটেরিয়ার কম উপস্থিতি নিশ্চিত করে
মাংস সংরক্ষণের সময় যা করবেন না
তাজা মাংস সংরক্ষণের সময় আপনাকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কেননা ছোট ছোট কিছু ভুল আপনার পুরো সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে দিতে পারে। মাংস সংরক্ষণের সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে –
• রান্না করা মাংসের সংস্পর্শে কখনও তাজা মাংস রাখবেন না। কাঁচা মাংসের ব্যাকটেরিয়া রান্না করা মাংসের জন্য ক্ষতিকর।
• যে পরিমাণ মাংস সংরক্ষণ করতে চান তা অবশ্যই পাত্র, ব্যাগ বা প্লাস্টিকের মোড়কে পুরোপুরি আবদ্ধ রাখুন।
• সংরক্ষণের সময় বিভিন্ন ধরনের মাংস যেমন- মুরগী, গরু, কিংবা খাসি, আলাদা রাখুন।
• রান্না করার কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা আগে মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন এবং ধীরে ধীরে মাংস ছাড়তে দিন।
মাংস সংরক্ষণের সময়কাল
মাংসের পুষ্টিমান ও স্বাদ ভালো রাখতে চাইলে অনেক বেশি সময় ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করা উচিত নয়। তাজা মাংসের স্বাদ পেতে চাইলে তা অবশ্যই ক্রয় বা প্রাপ্তির সময় থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া উচিত।
তবে সংরক্ষণ করতে চাইলে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, গরুর মাংস ৮-১২ মাস এবং মুরগির মাংস ৩-৬ মাসের বেশি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন