করোনাভাইরাস শনাক্তে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটের ওয়েসিস হসপিটাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ সারাদেশের ৭৭ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রোববার বিকেলে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করানোর খরচ ৭০০ টাকায় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল পাওয়া যায় ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে। বাংলাদেশে বর্তমানে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের বেশির ভাগ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ফল পেতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় লাগলেও তা সবচেয়ে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।
গত বছর দেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর শুধু আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই চলত। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করে সরকার। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেসরকারি হাসপাতালেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়।
গত ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি স্টেটের নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
গত ১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৭৭ প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে নির্দেশনা দিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ৭৭টি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষায় আরটি-পিসিআরের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু থাকবে।
অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে বায়োসেন্সর এবং প্যানবায়ো নামে দুটি কিটের। এসব কিটের আনুমানিক মূল্য ৫০০ টাকা। এই মূল্যের সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্যান্য খরচসহ পরীক্ষাটির সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন