নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক চলমান কঠোর লকডাউন চলছে।এরই মধ্যে সিলেটে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। কিন্তু লকডাউন মানতে সাধারণ মানুষের মাঝে অনীহা দেখা দিয়েছে।দিনের বেলা সিলেট নগর জুড়ে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক ভাবে দেখা যায়। এরই সাথে বিধিনিষেধে মধ্যে নগরীর রাস্তা বোরকার পড়া নারীদের দেখা মিলে। আসলে এরা কারা? উত্তর নেই কারো কাছে। কেউ ভাবছেন এরা পথচারী, আবার কেউ ভাবছে ভিক্ষুক এবং অনেকেই মনে করেন এরা ত্রাণের জন্য রাস্তায় আসছেন। সচেতন মানুষের মাঝে এদের নিয়ে চলছে নানাবিধ সমালোচনা।
বুধবার অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বাত্মক চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে সিলেট নগরীর সুরমা পয়েন্ট এর আদালতের গেইটের সামনে রাস্তায় বসে থাকা এই নারীরা হলেন পতিতা। যাদের কাজেই হলো অসামাজিকতা। তারা ১০-১৫ জনের একটি দল রয়েছে। এরা বেধে বসে থাকে খদ্দেরের আশায়। খদ্দের পাওয়ার সাথে সাথে নিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বাসা-বাড়িতে। এদের কবল রক্ষা পাচ্ছেন না মসজিদের ইমামও। তারা কোন লোক দেখলেই অসামাজিকতার প্রস্তাব দিয়ে থাকে। অনেকে চক্ষু লজ্জায় কিছু বলতে পারেননি। সম্মানের ভয়ে পালিয়ে যান। জজকোর্র্ট মসজিদের সামনে যাত্রী ছাউনীতে তাদের অবস্তান। মুসল্লিরা মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হলেই চোখ পড়ে এই নারীদের উপর। কিন্তু কেউ সম্মানের ভয়ে কেউ এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পথচারী বলেন, এই নারীরা করোনা ও সর্বাত্মক চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় আসে কি ভাবে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেন? গতকাল দেখা গেলো সেনাবাহিনী এদের ত্রাণ দিচ্ছে। কিন্তু আজ আসলো কিভাবে।
এক পতিতা নারীর সাথে আলাপ কালে ক্রাইম সিলেটকে বলেন, আমরা পেটে দায়ে রাস্তায় আসি। খাবার পাইলে আর রাস্তায় আসতাম না। কিন্তু মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর সদস্যরা এদেরকে খাদ্য সামগ্রী দেন। তবুও তারা রাস্তায়। গত বছর করোনাকালে এভাবেই বলেছিলেন আমরা পেটের দায়ে আসি। পরে সাংবাদিকদের উদ্যোগে ১৫ জন পতিতা নারীকে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু দুইদিন পর ফের রাস্তায় নেমে আসে পতিতা নারীরা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন