নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ নগরীর বন্দরবাজার সংলগ্ন কাষ্টঘরের জল্লা’র জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী নগরীর উপশহর এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে এবাদুর রহমান (৩৪)। ৪ জুলাই রোববার কাষ্টঘরের জল্লা’র সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় এবাদুর রহমান ৫ জনকে আসামি করে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ছড়ারপার এলাকার মৃত মরহুম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান মজলাই, তার দুই ছেলে কয়েছ আহমদ ও ছামসুল আহমদ এবং একই এলাকার মৃত জমির মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ ও সুমন আহমদসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নগরীর ছড়ারপার এলাকার হাবিবুর রহমান মজলাই ও ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী এবাদুর রহমানের মধ্যে পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে রোববার বিকেলে এবাদুর রহমান বাসা থেকে চালিবন্দর জল্লা এলাকায় যাওয়ার পথে হাবিবুর রহমান মজলাই, তার ছেলে কয়েস আহমদ ও শামছুল আহমদসহ ইমন আহমদ, সুমন আহমদ মিলে রামদা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এবাদুর রহমানের উপর হামলা চালায়।
হামলায় এবাদুর রহমানের মাথায় আঘাতের কারনে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে যান। তারা বাঁশ ও লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি ভাবে আঘাত করে। এসময় তার সাথে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এবাদুর রহমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন এবাদুর রহমানকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ব্যবসায়ী এবাদুর রহমান জানান,প্রশাসনের নাকের ডগায় হাবিবুর রহমান মজলাই গং বিশাল এই জলাভূমির অনেক জায়গায় মাটি ভরাট করে বেশকিছু বহুতল ভবন তৈরি করছে। আবার কোথাও টিনশেডের ঘর বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। খালি জায়গায় মাটি ভরাট করে রাখা হয়েছে প্লট হিসেবে বিক্রির জন্য। কিছু কিছু প্লট ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। আবার কিছু প্লট এখনও পানির নিচে কচুরিপানা ভর্তি নিচু ভূমিতে রয়েছে। জল্লা’র জমির পাশেই আমার কিছু জমি রয়েছে। আমি তাদের কার্যকলাপে আমার জমি দেখতে যাওয়ার পথে আমার উপর ওরা হামলা চালায়। বর্তমানে আমি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি।
ঘটনার সর্ম্পকে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম আবু ফরহাদ বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, কাষ্টঘরের ‘জল্লা’ নামে পরিচিত জলাভূমি নিশ্চিহ্ন করার টার্গেটে মাঠে নেমেছে প্রভাবশালী একটি মহল। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে অদৃশ কারনে আমলে নিচ্ছেন না।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন