• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘ভূমিদস্যু মজলাই

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুন ২৫, ২০২১
মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘ভূমিদস্যু মজলাই

বিশেষ প্রতিবেদকঃঃনগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার সংলগ্ন কাষ্টঘরের ‘জল্লা’ নামে পরিচিত জলাভূমি এবার নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। প্রশাসনের নাকের ডগায় আবাসন প্রকল্পের নামে গিলে খাচ্ছে এই জলাভূমি। বিশাল এই জলাভূমির অনেক জায়গায় মাটি ভরাট করে প্লট তৈরী এবং বেশকিছু বহুতল ভবনও নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার কোথাও টিনশেডের ঘর বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। খালি জায়গায় মাটি ভরাট করে রাখা হয়েছে প্লট হিসেবে বিক্রির জন্য। এবার পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় নগরীর আরেকটি জলাধার হারিয়ে যেতে বসেছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রাকৃতিক জলাধারের এভাবে শ্রেণি পরিবর্তন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও সংশ্নিষ্টরা নির্বিকার।

কাষ্টঘরের এই জল্লায় গড়ে উঠেছে মাদানী সিটি নামক একটি আবাসন প্রকল্প। ইতোমধ্যেই এই এলাকায় বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। আরও অনেক খালি প্লটে সাইনবোর্ডে মালিকের নাম-পরিচয় লেখা রয়েছে। তাদের মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন রয়েছেন। মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘ভূমিদস্যু মজলাই,
এ আবাসন প্রকল্পের নেপথ্যে প্রভাবশালী কয়েকজন জড়িত থাকায় প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর প্রকাশ্যে জলাভূমি ভরাট করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে না এলেও মাদানী সিটি নেপথ্যে রয়েছেন ছড়ারপাড়ের হাবিবুর রহমান মজলাই।

হাবিবুর রহমান মজলাই এই জল্লা দখল করে তার নিজের জন্য একটি ২তলা ভবন ও একটি বিশাল কোলনী নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়াও জল্লার প্লট বানিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসার সাইনবোর্ড টানিয়ে এবং জাল কাগজপত্র তৈরি জায়গা জোর দখল করেই যাচ্ছেন। তার সাথে রয়েছেন হেতিমগঞ্জের অ্যাডভোকেট মহানন্দ পাল, সোবহানীঘাটের সুকেশ দাস ও আবু সাঈদ অভিসহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী।

কাষ্টঘরের এই জল্লায় মাদানী সিটি নামক একটি আবাসন প্রকল্পে রাতের আধাঁরে মাটি ভরাট করছেন হাবিবুর রহমান মজলাই। তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন