সিলেট-৩ আসনে উপ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন বর্জন করতে করতে বিএনপি দিানদিন মুসলীম লীগের মতো হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দলটি অস্থিত্ব সঙ্কটে পড়বে।
শফি আহমদ চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এই আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির আপত্তি সত্ত্বেও এবার উপ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন শফি। একারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। এর জবাব দেওয়ার পর শনিবার তাকে বহিস্কার করে বিএনপি।
বিএনপির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্দ শফি আহমদ চৌধুরী রোববার গণমাধ্যমে এনিয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বহিস্কারের প্রতিক্রিয়ায় শফি আহমদ বলেন, ‘আমি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। তার হাত ধরে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। এখন যারা নেতৃত্বে আছেন, তারা হয়তো তখন রাজনীতি কী জিনিস সেটাই বুঝতেন না।
শফি চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে শোকজ করা হয়েছিলো। আমি তিন পাতার একটি চিঠিতে জবাব দিয়েছিলাম। সেখানে আমি নির্বাচন করার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। বলেছিলাম- এলাকার মানুষের চাওয়া, জনতার চাপে পড়ে আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি। বিএনপি ভোটের দল। ভোটে না যেতে যেতে মাঠপর্যায়ে খুবই করুণ অবস্থায় আছে দলটি। ইলেকশনে না গিয়ে বিএনপির অবস্থা দিন দিন মুসলিম লীগের মতো হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাটি ও মানুষের রাজনীতি করি। এই রাজনীতি থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা বিভিন্ন সময় আর্থিকভাবে ফায়দা নেন, তারাই কেবল সক্রিয়। তবে আমার পক্ষে জনসাধারণ সক্রিয়। জীবনের শেষ এই নির্বাচনে নিশ্চিত বিজয়ী হব।’
দল থেকে বহিষ্কারের কোনো চিঠি এখনও পাননি জানিয়ে শফি চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৮ জুন এই আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন