• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

নগরীতে হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস নামক পতিতালয়,চলছে মুকুলের রমরমা দেহ ব্যবসা

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুন ১৩, ২০২১
নগরীতে হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস নামক পতিতালয়,চলছে মুকুলের রমরমা দেহ ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে অবস্তিত হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস নামক মিনি পতিতালয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। বিভিন্ন সুত্র জানায়, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে অবস্তিত হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউসে দীর্ঘ দিন থেকে হোটেল মালিক মুকুল মেয়েদের দিয়ে ব্যবসায়ীদের দিয়ে ব্যবাসা করে। গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগও মিলছে হরহামেশাই মুকুলের বিরুদ্ধে। আবার কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় বেঁছে নিয়েছেন এই পেশা।

আবার অনেক মেয়ে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়েছেন এসব অসামাজিক কাজে। স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ও যুবকরা নিরাপদে এসব হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ করে হরহামেসাই।বর্তমানে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস,নগরীতে সবচেয়ে রমরমা দেহ ব্যবসা করে আসছে। তাদের কিছু সদস্য আছে তাদের কাজ মূলত আশপাশের এলাকা থেকে খদ্দের সংগ্রহ করে দেয়া।

এজন্য তারা কাষ্টমারভেদে কমিশন পেয়ে থাকেন। হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস নামক মিনি পতিতালয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা থেকে মেয়েদের আনা হয়। মেয়েদের মধ্যে ১৬-২৩-২৪ বছর বয়সী মেয়েদের সংখ্যাই বেশি।

এদের বেশীরভাগই আবার বিভিন্ন কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। তাদের কাষ্টমার মুলত ১৫ থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধও। তবে উঠতি বয়সি যুবক ও কলেজ ছাত্ররাই তাদের প্রধান খরিদ্দার। তারা টার্গেট ও করেন এই বয়সি যুবকদের।

এছাড়া ফোনকলের মাধ্যমেও তারা কাষ্টমার পেয়ে থাকেন। হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস এর ম্যানেজার মকুলের দায়িত্ব তাকা পতিতা দালাল আলী জানান অনেক মেয়েই রাস্তাঘাটে ঘুরাফেরা করে বিভিন্ন ইশারা ইংগিতের মাধ্যমে পথচারীদের দৃষ্টি অাকর্ষণ করে সাড়া পেলে তাদের নিয়ে পূর্বনির্ধারিত হোটেলে আসেন।

টাকার ভাগ-বাটোয়ারা কিভাবে হয়? জানতে চাইলে তিনি জানান,মেয়েরা প্রতিটি কাজে ২৫% পায়,প্রশাসন ও স্থানীয় নেতারা পায় ৩৫%, ১৫% দেওয়া হয় এজেন্টকে এবং বাকি হোটেল কর্তৃপক্ষ  ভাগে থাকে।সিলেট নগরীতে পতিতাবিরোধী আইওয়াশ অভিযান মাঝে মধ্যে হলেও সময়ের ব্যবধানে এর সিষ্টেম কিছুটা পরিবর্তন হয়।

কিছুদিন আগে নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গুলোতে অভিযান করে নামেমাত্র কয়েকজন পতিতা ও খদ্দের আটক করলেও অভিযানে মুল হোতা মকুল ও আলিসহ কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মুল হোতাদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মকুল আলী চক্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, মেসের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সমানতালে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিক ও দালালরা। মাঝে মধ্যে আইন শূংখলা বাহিনি অভিযান পরিচালনা করে পতিতাদের আটক করলেও মালিক দালালদের আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। হোটেল সবুজ বিপণিতে মকুল ও আলির দেহব্যবসার পাশাপাশি মদ গাজার আসর হয়ে থাকে প্রতিনিয়ত।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে অবস্তিত হোটেল সবুজ বিপনী রেষ্টহাউস নামক মিনি পতিতালয় দীর্ঘদিন থেকে পাপরাজ্যে চালিয়ে জাচ্ছে । এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে মকুল বলেন আমার হোটেলে অভিযান দেবে কে? সবাইকে খুশি করেই আমরা নিরাপদে এ ব্যবসা করছি। চুরি ছিনতাইত করছিনা।

এদিকে,আবাসিক হোটেল গুলোর আশপাশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনতা স্বার্থক অভিযান চালানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। তাদের মতে, পতিতাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যুব সমাজ ভয়ানক পথে পা বাড়াবে। ফলে ছিনতাই, নেশাগ্রস্থ হয়ে জাতিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। এতে মরণ ব্যাধি এইডসসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে গোটা সিলেট।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু ফরহাদ জানান এব্যাপারে আমার জানা নেই, তবে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা অভিযান দিয়ে আটক করে জেলে পাটালেও আইন শক্ত না থাকায় জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার কার্যত্রুম শুরু করে।চলমান..

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন