নিজস্ব প্রতিবেদক:- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার সাত মাইল নামক স্থানে অবস্থিত শাহ্ আব্দুর রহীম (র.) নামের মাজারে দানের খাসি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আছরের নামাজের পর মাজার সংলগ্ন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপর এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে মাজারের খাদিম পরিচয়দানকারী প্রতারক আব্দুস শহীদ পক্ষের লোকজনের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন বিলাল আলী সহ আরো ৫ জন। আহত বিলাল আলী বিশ্বনাথ উপজেলার বাওনপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই খাসি নেয়াকে কেন্দ্র করে মাজারের দাবি দার দুপক্ষের মধ্যে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত হয়েছেন বিলাল আলী নামের একজন। তিনি বর্তমানে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন।
সুত্রে জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহ্ আব্দুর রহীম (র.) নামের মাজারে একটি খাসি নিয়ে আসেন বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামের দুলন মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
তিনি খাসি নিয়ে মাজারে আসার সাথে সাথে মাজারের খাদিম পরিচয় দানকারি প্রতারক শহীদ এই ভক্ত দুলনের কাছ থেকে খাসি নিয়ে তড়িগড়ি করে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় মাজারের বর্তমান ক্যাশিয়ার নিজাম উদ্দিন মাজারে দানকৃত খাসি আটক করে খাসির মালিকের কাছ থেকে জানতে চান খাসিটি মাজারে দান করেছেন না সি শহীদকে দিয়েছেন। তিনি জানান, আমি মাজারে দিয়েছি, কোন ব্যক্তিকে দেইনি। একথা বলার সাথে সাথে প্রতারক শহীদ নিজাম উদ্দিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা একই গ্রামের মুরব্বি সিদ্দেক আলী জানান, আব্দুস শহিদ জোপুর্বক ভাবে মাজারের দানকৃত ছাগল নিয়ে যাওয়া নিজাম উদ্দিন বাঁধা দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’ইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তবে, শহীদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদতালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এ মাজার নিয়ে প্রতারণার দায়ে ইতিপূর্বে সে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগও করেছেন। শুধু তাই নয় শহীদের প্রতারনায় অতিষ্ট হয়ে মাজার কমিটি তাকে কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে মাজারের টাকা আত্নসাৎ করতে না পেরে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামালাও দায়ের করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটে সাংবাদিক নিজামুল হক আত্মহত্যা করেছেন।
এ আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে বিরল তথ্য। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কেউ মুখ খুলেনি। প্রতারক শহীদের ফাঁদে পা দিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মাজারে যান লিটন। সেখানে যাওয়ার পর লিটনকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে তাকে গাঁজা ব্যবসায়ী অপবাধ দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ লিটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। জামিনে বের হওয়ার পর লিটন তার নির্যাতনের ভিডিও দেখে ভেঙে পড়েন। সর্বশেষ লজ্জায় লিটন আত্মহত্যা করেন।
কিন্তু সিলেটের সাংবাদিক সমাজ বা তার পরিবার এ বিষয় নিয়ে কোন অভিযোগ দাখিল করেননি। যার ফলে পার পেয়ে যান প্রতারক শহীদ। ‘খোদার ঢোল ফেরেস্তায় বাজায়’ লিটন হত্যার সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই খাসি কান্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন প্রতারক শহীদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাজার নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। সিন্তু বৃহস্পতিবার মাজারের দানকৃত খাসি নিয়ে তাদের মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন