পোস্ট রিপোর্ট:: সাংবাদিক নিজামুল হক লিটন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সদস্য। দক্ষিন সুরমার লালাবাজারস্থ একটি মাজারের অনিয়ম আত্মসাত নিয়ে তিন তিনটি সংবাদ প্রতিবেদন করেছিলেন তিনি।
এই মাজারের মূল পরিচালক সাবেক এক ইউপি মেম্বার ও মাজার কেন্দ্রীক একটি বাউল কল্যাণ সমিতির সভাপতি। তারই পরিকল্পনায় গত ৯ মার্চ সাংবাদিক নিজামুল হক লিটনকে তার পক্ষের লোক শহীদকে দিয়ে খবর দিয়ে লালাবাজারে নেন এবং সিলেট ষ্টেশন রোড থেকে এক কেজি গাঁজা নিয়ে তার ব্যাগে ঢুকিয়ে তাকে আটক ও গণপিটুনী দেওয়ান।
পরে পুলিশকে খবর দিয়ে গাঁজাসহ তাকে পুলিশে সোপর্দ করান। আটক ও নির্যাতনের ঘটনার ডিডিও সোস্যাল মিডিয়ায়ও প্রচার করান তিনি। পরে ওই সাবেক মেম্বার নিজে দক্ষিণ সুরমা থানায় উপস্থিত হয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই বিষ্ণুকে বাদী করিয়ে একটি মাদক মামলা রুজু করান।
পরে এই মোমলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়। এখানে ই শেষ নয়, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরে আরেকটি চুরির মামলায় কোতোয়ালি পুলিশ দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখান। সাংবাদিক নিজামুল হক লিটন দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পান।
তার উপর এসব আইনী নির্যাতনের ঘটনায় নিরব থাকে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব,এমনকি ওই সাব্কে মেম্বারের প্ররোচনায়ই তাকে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়। পাশপাাশি জেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দও আশকারা দিতে থাকেন ষড়যন্ত্রকারী মাজারী ওই বাউল মেম্বারকে। জামিনে মুক্তির পর সাংবাদিক লিটন সোস্যাল মিডিয়ায় তার নির্যাতনের ভিডিও দেখতে পান।
ফলে চরম অসহায় হয়ে পড়েন সাংবাদিক নিজামুল হক লিটন। এক পর্যায়ে জেল জুলুম, মিথ্যো মামলা, নগ্ন অপপ্রচার এবং অসহায়ত্বের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার ভোররাতে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
সাংবাদিক নিজামুল হক লিটনের আত্মহত্যার মূলে প্ররোচনা দেন সিলেট বাউল কল্যাণ সমিতির কথিত সভাপতি সাবেক ওই ইউপি মেম্বার।
তাই সাংবাদিক লিটনের আত্মহত্যার দায়ে কথিত সিলেট বাউল কল্যাণ সমিতির কথিত সভাপতি ও তার অনুগত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই বিষ্ণুর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে সাংবাদিকরা আন্দোলনে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
সাংবাদিক লিটন আত্মহত্যার পর থেকে সিলেট বাউল কল্যাণ সমিতির কথিত সভাপতি ওই সাবেক মেম্বার অনেকটা আড়ালে আবড়ালে চলে গেছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন