• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জৈন্তাপুর ঘিরে শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট সক্রিয় করিম,রুবেল

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মে ২২, ২০২১
জৈন্তাপুর ঘিরে শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট সক্রিয় করিম,রুবেল

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশেকে ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে,সিলেট বিভাগের অবস্থান দেশের উত্তর দিকের সীমান্তবর্তী মহারাষ্ট্র ভারতের কাছাকাছি।সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এই চার জেলা নিয়ে সিলেট বিভাগ।

আর সৌভাগ্য বা দূর্ভাগ্য যাই বলেন সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার কোল ছুঁয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য,আর মুলত সেই কারণেই সুদূর অতীত থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্য সামগ্রী আদান-প্রদান একটি ভালো ভাব আমরা অতীতের ইতিহাস থেকে জানতে পারি।

বাংলাদেশ – ভারত পাশাপাশি এবং বন্ধুভাবাপন্ন দেশ হওয়ায় দু-দেশের মধ্যে বিভিন্ন রকম বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি হয় এবং সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি – রপ্তানি করা হয়। একটি কথা সত্য যে, সীমান্তবর্তী হওয়ায় মাঝে মধ্যে সরকারের নির্দেশনা না মেনে(মানে চোরাচালানের) মাধ্যমেও যে, কিছু আদান-প্রদান হচ্ছে না এটা কেউ হলফ করে বলতে পারবেন না।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আধ্যান্তিক নগরীখ্যাত সিলেট যেন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে বলেই মনে করেন সিলেটের সুশীল সমাজ। কারণ বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের সহজ সরল কৃষক থেকে শুরু করে শহরের প্রায় সকল মানুষই সরকারের ডিজিটাল ই সেবার অন্তর্ভুক্ত এবং প্রতি মুহূর্তে কোথায় কী হচ্ছে/ঘটছে তা সকলেই অবগত। আর তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সিলেটের বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা এমনকি জাতীয় দৈনিকও বাদ পড়ছে না সিলেটের চোরাচালান নিয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে। সিলেটের কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টালে ধারাবাহিক ভাবে সিলেটের চোরাচালান নিয়ে এবং চোরা কারবারিদের ছবি ও ঠিকানা উল্লেখ করে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে,কিন্তু হলে কী হবে! কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টো চোরাকারবারি ও বোঙ্গাড়ীগণ প্রতিবেদককে হুমকি দিতেও দ্বিধা বোধ করছে না।

আর এসব চোরাচালানের জন্যে একদিকে যেমন ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতি লালিত হযরত শাহজালাল ও শাহপরান(রহঃ)র পূণ্যভুমি আধ্যান্তিক নগরী হিসেবে খ্যাত সিলেটের মানসম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে,অপর দিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।চোরাকারবারিগণ সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে তাদের ইচ্ছে মতো পণ্য সামগ্রী এবং কোথাও কোথাও মাদকের মতো বড়সড় চালানও আদান-প্রদান করছে।

অনেক সময় দেখা যায় যে, এসব চোরাচালানের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এবং সীমান্ত এলাকার দখল বা আদিপত্য নিয়ে মারামারি থেকে শুরু করে খুন পর্যন্ত হয়।ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার নিরীহ ও শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষগুলো চরম আতংক এবং হতাশার মধ্যে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে।
উল্লেখ্য যে, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে বর্তমানে চোরাচালানের জন্য বেশি আলোচিত হচ্ছে জৈন্তাপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা। এই এলাকা দিয়েই বেশিরভাগ চোরাকারবারি ও ভোঙ্গাড়ীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত মালামাল নিয়ে সিলেটের পিচঢালা কালো রাজপথ দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেয়। চোরাচালানকৃত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

বিভিন্ন ব্যান্ডের দামী স্মার্টফোন,ডিভাইস,কসমেটিকস,ভারতীয় শাড়ী, লেহেঙ্গা, থ্রি পিছ, থেকে শুরু করে বিভিন্নরকম কাঁচামাল যেমন মসলা,পিঁয়াজ,আলু,রসুন, আদা, জিরা ইত্যাদি। পাশাপাশি মাদকের চালানও আসছে যা খুবই উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার বিষয়। এসব সীমান্ত এলাকা দিয়েই আসে মরণ নেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন,গাজা,ভারতীয় বিভিন্ন রকম মদ,ও আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট এবং ভারতীয় নাসিরুদ্দিন বিড়ি। তাছাড়া ভারতীয় সুপারি সীমান্তের অপার থেকে খুব সহজে এপারে নিয়ে আসে আর এসব মালামালের বৈধতার সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন স্থানীয় হরিপুর বাজারের কয়েকজন ইজারাদার।সংগ্রিহিত লেখা

এখন কথা হলো সরকারের নিয়োজিত সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিজিবি)’র চোখ ফাঁকি দিয়ে কেমন করে এসব চোরাই পণ্য দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, সেটাই ভাবার বিষয়! তাছাড়া বিজিবি’র পাশাপাশি পুলিশ,র্যাব ও সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর চলমান টহলকারী টিমের নাকের ডগায় কেমনে সম্ভব হয় এসব চোরাচালান এবং কেনোই বা সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করে রাতের আঁধারে কিংবা দিনের আলোয় চোরাকারবারিরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কুকর্ম।

মাঝে মধ্যে র্যাব অভিযান চালিয়ে কিছু কালোবাজারি ও চোরাকারবারিদের আটক করলেও কিছু দিন হাজতবাসের পর বেরিয়ে এসে আবারও শুরু করে তাদের সেই পুরনো ব্যবসা।আর এসব চোরাচালানের মুল হোতা হলো জৈন্তাপুর উপজেলার ঘিলাতৈল গ্রামের মূত মছদ্দর আলীর ছেলে আব্দুল করিম প্রকাশ বেন্ডিস করিম,তার ভাগিনা কেন্দ্রীগ্রামের আহমদ মেম্বারের ছেলে মির্জা রুবেল জনশ্রুতি আছে, তাদের নাকি স্থানীয় বিজিবির লাইনম্যান এবং তাদের মদদপুষ্ট নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে আসছে এসব চোরাচালান।

এসব অবৈধ টাকার জোরে তিনি নাকি জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছেন।তাছাড়া আরো জানা যায় যে, সিলেট শহরে যে সকল চোরাচালান ও মাদকের চালান ডুকে তার দায়িত্বে রয়েছেন বুঙ্গাড়ী রুবেল।

এ ব্যপারে জানতে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দস্তগীর আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি তাদের চিনি না কোন পত্র পত্রিকায় ও খবর পাইনি বলে ফোন কেটে দেন।

এব্যাপারে জানতে চোরাকারবারি বেন্ডিস করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এইসব মিথ্যা, যত পারেন লিখতে থাকেনবলে ফোন কেটে দেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •