• ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে চলমান ‘স্বপ্ন’র প্রতারণা : ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মে ৩, ২০২১
সিলেটে চলমান ‘স্বপ্ন’র প্রতারণা  : ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

বিশেষ প্রতিবেদন :: পবিত্র মাহে রমজান মাসেও থেমে নেই সিলেটে সুপার শপ ‘স্বপ্ন’ প্রতারণা। প্রতারণায় ধরা পড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা গুণতে হচ্ছে তাদের। চটকদার বিজ্ঞাপন আর সুস্বজ্জিত আউটলেট এটাই এসিআই লজিস্টিক্স লিমিটেড কিংবা চেইন সুপার শপ ‘সুপার শপ স্বপ্ন’র মূল পুঁজি। ‘স্বপ্ন’র বাহারী বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে নিয়মিত ঠকছেন সিলেটের সহজ সরল মানুষ। বেশিরভাগ পণ্যে বিক্রিতে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করছে এই সুপার শপের আউটলেটগুলো। বাজার মূল্যের চেয়েও কম দামে বিক্রির লোভ দেখিয়ে গলাকাটা দাম রাখে সুপার শপগুলো। শুধু দাম নিয়েই লুকোচুরি নয়, ‘স্বপ্ন’র অনেক পণ্যর মান ও নাকি নিম্নমানের। চটকদার বিজ্ঞাপন আর অভিনব বিক্রয় কৌশলে এই নিম্নমানের পণ্যই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। নকল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অভিযোগে ‘স্বপ্ন’কে বেশ কয়েকবার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিন্তু তবু বন্ধ হয়নি ‘স্বপ্ন’র প্রতারণা। সিলেট ছাড়াও সারা দেশেই ‘স্বপ্ন সুপার শপ’ এর একাধিক আউটলেটে অভিযান চালিয়ে পঁচা মাছ-মাংশ বিক্রির অপরাধে আর্থিক জরিমানা করে বিভিন্ন ভ্রাম্যমান আদালত। তারপরেও থামেনি ‘স্বপ্ন সুপার শপ’র প্রতারণা বানিজ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেটে রয়েছে তাদের ৫টি আউটলেট (শাখা)। সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত প্রতিটি আউটলেটে থাকে গ্রাহকের ভীড়। যদিও করোনা লগডাউনে এরা সরকারি বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে গভির রাত পর্যন্ত খোলা রাখে এই আউটলেট গুলো। ‘স্বপ্ন সুপার শপ’ তরতাজা আর ফরমালিন মুক্ত মাছ, মাংশ, সবজিসহ ফলমুল কিনতে এসে অনেকেই হন প্রতারিত। সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের প্রবেশ মুখেই ‘স্বপ্ন সুপার শপ’র দ্বিতীয় বৃহত্তম আউটলেট। বাহিরে ‘স্বপ’র বিশাল সাইনবোর্ড হলেও ভিতরের প্রতিটি সেক্টর ভাগ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্টানের কাছে। যাকে তাদের ভাষায় ব্যান্ডোর বলা হয়ে থাকে। খোলাবাজার থেকে পণ্য খরিদ করে শুধু ‘স্বপ্ন’র স্টিকারকে পুঁজি করে হাতিয়ে নিচ্ছে দ্বিগুন দাম। ব্যান্ডোরের কাছ থেকে প্লেস ভাড়া না নিয়ে কমিশন বাবদ নিচ্ছে বিক্রির শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অর্থ কেঠে নেয় স্বপ্ন কতৃপক্ষ। যত নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য হউক ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষের কিছু যায় আসেনা, কারণ এর দায় নিবে ব্যান্ডোর। কোন ব্যান্ডোরের মালে সমস্যা হলে আউটলেটগুলো তদারকির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা হুমকি-ধামকি দিয়ে ব্যান্ডোরের কাছ থেকে নিজেরদের পকেট ভারি করে নেন দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে জনৈক কর্মচারী জানান, তদারকিতে থাকা এক কর্মকর্তা ব্যান্ডোরদের কাছে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মাঝে-মধ্যে অর্থ নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্ধারিত দামের পাশাপাশি প্রতিটি পণ্যতেই সরকারি ভ্যাট ১৫% অতিরিক্ত নেওয়া হয়ে থাকে গ্রাহকদের কাছ থেকে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •