নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার মামার বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া শ্মশান ঘাট দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য পাথর খেকো আতাউর রহমান আতাই।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, মামার বাজার পাথর টিলা শ্মশানঘাট প্রায় ২শ বছর এর বেশি ধরে ব্যবহার করে আসছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এই শ্মশান ঘাটে তাদের পূর্ব পুরুষদের ও শেষ কৃত অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
কিন্তু পাশের বাড়ীর ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আতাই রাতের আধারে সাইনবোর্ড সড়িয়ে জায়গা বৃদ্ধি করতে করতে পুরো জায়গায়টাই দখলে নিয়েছেন।ইউপি সদস্য আতাউর রহমান শ্মশান ঘাটের জায়গাটি উনার জায়গা বলে দাবী করছেন।
এই শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন ও সীমানাপ্রাচীর নির্ধারণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে অনুদান প্রদান করেন।
১,২৩ শতক ভূমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য, এবং মন্ত্রীর নাম সম্বলিত ,দাগ নং খতিয়ান,নং মৌজা লিখে শ্মশানে নির্দিষ্ট জায়গাতে সাইনবোর্ড পুতে রাখা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দিপক রায় বলেন,গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান স্যারের সাথে কথা বলি গত (২৫ এপ্রিল) তিনি আশ্বস্ত করেছেন দালিলিক কাগজ পত্র সহ অভিযোগ দেওয়ার জন্য। অভিযোগ পেলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আহাদ’র সাথে দখলের বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন সিলেট জেলা যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার পাল।
তিনি জানান বিষয়টি শুনেছি স্থানীয় চেয়ারম্যান সমাধানের চেষ্টা করছেন। সমাধান না হলে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন,অবিলম্বে শ্মশান ঘাটের জায়গাটি উদ্ধার করার জন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
সেই সাথে পরধনলোভী,ভূমিকেখো ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আতাইকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা যায় উপেজলার জাফলং পাথর কোয়ারি এলাকায় দীর্ঘ দিন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে আতাই মহল। এই মহলের নাম বাংলাদেশ গোয়েন্দো সংস্থার রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু কিছুতেই এদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা নিজেদের নেতা দাবি করে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে এমন কান্ড করে আসছে। এখন জাফলংয়ে চাঁদাবাজির রামরাজত্ব কায়েম করছেন আলোচিত ভূমি দস্যু আতাই মেম্বার।
সর্বশেষ গত (২৭ এপ্রিল) গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট শ্মশান ঘাটের জায়গাটি উদ্ধার ও আতাউর রহমান আতাইয়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন