• ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন,ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস যেন লু-হাওয়া

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২৮, ২০২১
সিলেটে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন,ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস যেন লু-হাওয়া

শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান:: তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।নেই বাতাস, নেই বৃষ্টি,ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস যেন লু-হাওয়া। রমজানে মাসে বাইরের আবস্থা তো আরও ভয়াবহ, রোদের তাপ,আর গরমে শ্রমজীবি মানুষদের যেন নিস্তার নেই। ঘেমে নেয়ে একাকার, যেন নাভিশ্বাস উঠছে সিলেটবাসীর। শুধু যে কেবল সিলেট এ অবস্থা তা কিন্ত নয়, সারা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আরও ৩/৪দিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে তবে রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে লাগা কএকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বিভাগের বিভিন্ন জায়গায়। বৃষ্টি নামলেই কমবে তাপমাত্রা। আর দেশের মানুষ রয়েছে তারই অপেক্ষায়।

আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৩ মে পর্যন্ত এরকম তাপমাত্রা গতি থাকবে। সিলেটে আজকে দুপুরে তাপমাত্রা থাকবে ৩৫/৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

এদিকে, সারা বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় গত দু- দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় এর কারণে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এরপরই ওই সব স্থানে তাপপ্রবাহ কমে যায়। তবে এরপর আবারও বেড়ে যায় গরম। তীব্র গরমে দেশের কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই।
আর এদিকে সিলেট নগরীর মানুষ রয়েছে অন্য ভোগান্তিতে। শহরে রয়েছে খাবার পানির সংকট।

এদিকে তীব্র গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ জন্যই সামান্য বৃষ্টির প্রয়োজন সিলেটবাসীর। আর এই তীব্র গরমের মধ্যেই স্বস্তির খবর দিলো আবহাওয়া অফিস।

জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে গরমের তীব্রতা বেশি হওয়ায় শীতল হচ্ছে না প্রকৃতি। বরং ভ্যাপসা গরমে আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিলেটসহ সারা দেশে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি ও বিদ্যুৎ সংকট।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন