স্টাফ রিপোর্টারঃঃ আলোচিত পকেটমার পপি ও তার ছিনতাইকারি ছেলে অন্তর,ও দেবর শাহিন আহমদ রাজু প্রকাশ ছাওয়াল,
একের পর এক ভয়ংকর অপরাধ করলেও এলাকাবাসী প্রাণভয়ে থাকেন নিশ্চুপ। আবার এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো ফল পাওয়া যায় না। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পপি সিন্ডিকেটের দহরম-মহরম সম্পর্ক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পকেটমার পপির ছেলে অন্তর ভয়ংকর কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা । ৩০ থেকে ৪০ জন উঠতি বয়সের কিশোর নিয়ে গ্যাংটি গঠিত।
এলাকার চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও নারী উক্ত্যক্তসহ এমন কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছিল না যা এই পকেটমার পপির ছেলে অন্তর ও তার সদস্যরা করে না।
ইতিপূর্বে সৈয়দানিবাগ এলাকার এক রিকশা ড্রাইভারকে কুপিয়ে ও আহত করে। আলোচিত পপি একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে এসেই পুনরায় তার ছেলে অন্তর ও দেবর ছাওয়ালকে দিয়ে পুরোদমে শুরু করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা।
সরজমিনে উপশহর এইচ ব্লকের বিলের পাড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গোটা এলাকা নিস্তব্ধ। পপি বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন বিলের পার এলাকাবাসী। একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ পপির গ্রুপটি চুরি-ডাকাতি, মাদক ব্যবসা করেই ক্ষান্ত থাকেনি, মাসে মাসে বিভিন্ন বাড়িতে চাঁদাবাজি করত। চাঁদার পরিমাণ নির্ধারিত হতো কার বাড়িতে কয়টি ফ্ল্যাট ভাড়া হয়েছে তার ওপর। তাদের চাহিদা মোতাবেক চাঁদা না দিলে ভাড়াটিয়াদের উক্ত্যক্তসহ বিভিন্নভাবে নাজেহাল করে তাড়িয়ে দেওয়া হতো। ফলে অনেক বাড়ির মালিক বাড়ি ভাড়ার স্বার্থে মুখ বুঝে তাদের চাহিদা মেটাত।
অভিযোগ রয়েছে, পপি বাহিনী এতটাই প্রতাপশালী যে প্রকাশ্যে কাউকে লাঞ্ছিত কিংবা অপমান করলেও কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। এমনকি রাস্তা দিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে মেয়েরা হেঁটে যেতেও নিরাপদ বোধ করত না। অভিভাবকদের সামনেই উত্ত্যক্ত করা হতো তাদের।
এছাড়া অন্তর ও তার গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্য কিনে টাকা দিত না। গত তিন মাস আগে ঐ এলাকায় এক ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে তারা। তাদের ভয়ে জিম্মি ব্যবসায়ীরা। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শাহপরান থানার পার্শ্ববর্তী এলাকা হলেও পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই অপকর্ম জেনেও না জানার ভান করেন। এলাকার একাধিক অভিভাবক বলেন, এদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও অপকর্ম পুলিশ প্রশাসন অবগত থাকলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তারা বলেন, পরিত্যক্ত ঐ বাড়িতে প্রতিদিন মাদকের যে আড্ডা বসে কারোরই অজানা নয়। পুলিশের কতিপয় অসাধু সদস্যের সঙ্গে পপি বাহিনীর সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেট নগরীর ভয়ংকর নারী ছিনতাইকারী পপি, সে নগরীর ব্যস্ততম পয়েন্ট ও শপিং মহল গুলোতে ক্রেতাদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় । মহিলা ছিনতাইকারী পপির নেতৃত্বে পুরো নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছিনতাই সহ নানা রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে পপির চক্র। মহিলা ছিনতাইকারী পপি এতোটাই প্রভাবশালী যে পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় প্রভাবশালী কাউকে পরোয়া করছে না।
পপির কথা হচ্ছে টাকা থাকলে সবাইকে কেনা যায়,
ছিনতাইকারী পপির মদদদাতা কারা জনমনে প্রশ্ন থেকে যায়। ছিনতাইকারী পপি এই অবৈধ পন্থায় আয়ের ফলে অল্পদিনে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছে ।
সিলেট উপশহর এইচ ব্লকে পপির ১০ ডিসিমেল জায়গা ও নিজস্ব বিলাস বহুল বাসা রয়েছে আর এই বাসায় দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানাযায়, পপির নামে সিলেট শহরের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ইয়াবা মামলা রয়েছে । এমনকি বেশ কয়েক বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে এসে পপি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন