দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনে সিলেট নগরীতে চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। লকডাউনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের তুলনায় আজ চতুর্থদিন নগরজুড়ে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা গেছে। এদিকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না অনেকে। এদিকে সিলেটে সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রশাসন।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) কঠোর লকডাউনের চতুর্থদিন সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষজন অবাধে চলাচল করছেন। এছাড়া নানা মানুষকে অযুহাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না।
এদিন সিলেট মহানগরের শহরে সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও অন্যন্যদিনের মতো নগরেরবিপনীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে। শহরে জরুরি পরিবহন চলাচল ছাড়াও ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে গত তিনদিনের মতোই ভোর থেকে সিলেট নগরীর সকল প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের চেয়ে রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাবে দেখা গেছে। সকালে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়। তবে কিছু কিছু মোটরসাইকেল আরোহীদের পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে দেখা গেছে এদিন।
সিলেটের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার রিকাবিবাজার, মদিনা মার্কেট এলাকায় গত দুই দিনের তুলনায় মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি দেখা গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মুদিদোকানের পাশাপাশি একটি–দুটি করে খুলছে অন্যান্য দোকান। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ ব্যাবসায়ীদেরও সড়কে বলে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। এতে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা বা চলাচল।
একই চিত্র দেখা গেছে নগরের আম্বরখানা, চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, উপশহর, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, নাইওরপুল, মেডিকেল, পাঠানটুলা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। তাতে দেখা যায়, এসব এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকান খুলেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসছেন অনেকেই। এর বাইরে অনেককেই দেখা গেল কৌতূহলবশত বাসার বাইরে বের হতে বা ঘুরতে। এদিকে এসব আবাসিক এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটই ছিল খোলা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন