নিজস্ব প্রতিবেদক :: উপশহরে রিকশা চালক রনিকে হামলার ঘটনায় ১২ এএপ্রিল সোমবার আলোচিত পকেটমার ও ছিনতাইকারি পপির ছেলে অন্তরসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে এখনো মামলা নেয়নি শাহপরান (র:) মডেল থানা পুলিশ। হামলার এক সপ্তাহ পার হলেও এঘটনায় কাউকেই আটক করা হয়নি! থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও পাচ্ছেন একের পর এক হুমকি রনির পরিবার! বাদি রিকশা চালক হওয়ায় পুলিশের এরকম উদাসিনতা এমনটাই বলেছেন আহত রিকশা চালকের বোন শিমা।
পাঠকদের প্রশ্ন জাগতে পারে, আলোচিত পকেটমার ও ছিনতাইকারি পপির কি এমন যাদু যে-কারনে পুলিশ এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো অ্যাকশনে যাচ্ছে না? নগরীর ব্যস্থতম এলাকায় এরকম ঘটনায় পুলিশ কেনো নীরব ভূমিকা পালন করছে। কেনো এই মামলা হচ্ছে না?
অনুসন্ধানের একপর্যায়ে আলোচিত পকেটমার ও ছিনতাইকারি পপির কথোপকথনের একটি অডিও রের্কড আসে সিলেট লাইভ কর্তৃপক্ষের কাছে। মিলে সব অজানা তথ্য। পপি এবং পপির ভাই রাজু মাদক ব্যবসায় জড়িত। পর্যায়ক্রমে, প্রয়োজনে সিলেট লাইভ সেই অডিও প্রকাশ করবে।
সেই অডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়- আলোচিত পকেটমার ও ছিনতাইকারি পপি বলছে- শাহপরান (র:) মডেল থানার একজন এসআই সবসময়ই সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। পপিকে মামলা থেকে বাচাঁতে সেই অফিসার পপিকে তার বাড়িতে দুই দিন-দুই রাত রেখেছেন। সাথে টাকাও ধার দিয়েছেন। সর্ম্পকটা এখন এমন হয়েছে যে-প্রতিদিন আধা লিটার করে পপির গরুর খামারের দুধ সেই অফিসারের বাড়িতে যায়।
গত সোমবার রাতে আলোচিত পকেটমার ও ছিনতাই জগতের নারী পপি ও তার সহযোগী কালি ওরফে স্বপ্না বেগম আহত রনিকে দেখতে যায় তার বাসায়। এসময় পপি ও কালি তাদের মামলায় না যাবার জন্য হুমকিও দেন। হুমকি প্রসঙ্গে রনির বোন সিমার বরাত দিয়ে জানা গেছে, পপি তাদের বলেছে-মামলা দিয়ে কি হবে। এরকম অহরহ মামলা আমাদের বিরুদ্ধে। প্রশাসন আমার ছেলেকে কিছুই করবে না। এরকম দু’চারটা র্যাব-পুলিশ আমার পকেটে রয়েছে!
বিষয়টি জানতে শাহপরান (র:) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক কল করলেও মুঠোফোন ব্যস্থ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকার স্প্রিং টাওয়ারের সামনে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালক রনি (২২)-কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে অন্তর ও তার দলবল। এই সময়ে অন্তরের সাথে ছিলো সুমন, নুরু, জাবেদ, মন্ডলসহ প্রায় ১৫ কিশোর। রনির উপার্জিত টাকা নেয়ার এক পর্যায়ে সে তার পকেট থেকে ছুরি বের করে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার ডান চোখে। টাকা, মোবাইল ফোন নেবার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে ফেলে অন্তররা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা রিকশা চালক রনিকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়! এসএমপির শাহপরাণ (র) থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন