• ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নগরের কোতোয়ালি পুলিশের নাকের ডগায় কানা তাজুর চলমান পতিতা ব্যবসা,

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মার্চ ৩১, ২০২১
নগরের কোতোয়ালি পুলিশের নাকের ডগায় কানা তাজুর চলমান পতিতা ব্যবসা,

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট নগরের আবাসিক হোটেলগুলোর একটি হোটেল সোনালী।এর কুখ্যাতি রয়েছে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের।

প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে প্রকাশ্যেই দেহব্যবসা চালাচ্ছে হোটেলটি।

বিভিন্ন সময় মালিকানা বদল হলেও অবৈধ এ কারবার কখনও বন্ধ হয়নি।নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজারের লালদিঘীর পাড় এলাকা জামিয়া মসজিদের পাশেই এ হোটেলের অবস্থান। কোনো রাখঢাক ছাড়াই এখানে চলছে দেহ ব্যবসা।

এর পাশাপাশি মাদক সেবন ও বিক্রির কারবারও চলছে এ হোটেলটিতে। মাঝেমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি অবৈধ এ কারবার।
অভিযোগ রয়েছে পুলিশকে ম্যানেজ করেই এসব চালাচ্ছে হোটেল ম্যানেজার।

কুখ্যাত এ হোটেলটি পরিচালনা করেন সিলেট নগরীর মাছিমপুর এলাকার বর্তমান বাসিন্দা ( দোয়েল ১৫ ) নং শহরজান ভিলার তাজুল ইসলাম প্রকাশ ইয়াবা তাজু প্রকাশ কানা তাজু।

সিলেট মেট্রপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের নাকের ডগায় কানা তাজুর চলমান পতিতা ব্যবসা নিয়ে রয়েছে জনমনে ক্ষোভ,

একসময় হোটেলের বয় ছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে অনৈতিক কাজে সিদ্ধহত হয়ে যান তাজু । রাতারাতি মোটা আয় দেখে নিজেই চুক্তি মাধ্যমে নিয়ে নেন হোটেল।

এরপর পেশাদার যৌনকর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলেন নেটওয়ার্ক। যৌনকর্মীদের অনেকেই জিম্মি হয়ে রয়েছেন কানা তাজুর কাছে।

অনৈতিক এ কাজ থেকে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করেও পারেননি অনেকে।

অভিযোগ রয়েছে, ব্যাচেলর হোটেল সোনালীর বাইরেও নগরীর বিভিন্ন এলাকা বাসা ভাড়া নিয়েও দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন কানা তাজু।

আর এ কাজ নির্বিঘ্ন করতে গড়ে তুলেছেন আলাদা দালাল বাহিনী। আগন্তুক না বুঝে হোটেলে কিংবা এদের বাসায় উঠলেই জিম্মি করে আদায় করেন অর্থ।

তবে মানসম্মানের ভয়ে ঘটনার শিকার কেউই অভিযোগ দেননি থানায়।

সূত্র জানায়,আবাসিক ব্যাচেলর হোটেল সোনালীর কক্ষে দিনের বেলায় অবস্থান করেন তরুণীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন শিশু। রাতে তারা আলাদা আলাদা নম্বর কক্ষে অবস্থান করেন। অপেক্ষায় থাকেন ডাক পড়ার। ডাক পড়লে গভীর রাতেও বাইরে যান যৌনকর্মীরা।

কানা তাজুর প্রধান টার্গেট উঠতি তরুণরা,বিভিন্ন সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকেই হোটেলের দালালরা আহ্বান করতে থাকেন তরুণদের। অনেকেই এমন আহ্বানে বিব্রত হন। মাজে মধ্য এ হোটেলে এসে কেউ কেউ কানা তাজুর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন।

একসময় এরাই যুক্ত হন কানা তাজুর সেক্স র‌্যাকেটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে যে কোনো সময়। ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অবৈধ এ কারবার বন্ধে এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন হোটেল সোনালীর প্রধান তাজুল ইসলাম প্রকাশ কানা তাজু।

তার দাবি,পেটের দায়েই তিনি এই কাজ করছেন। তার এ হোটেলে কাজ করে অনেকেই সংসার চালাচ্ছেন। তার মতে,নগরীর লালদিঘীর পাড় ও বন্দরবাজার,কালিঘাট এলাকার ৮ থেকে ১০টি আবাসিক হোটেলে এ অনৈতিক কাজ হচ্ছে।

কিন্তু কুখ্যাতি থাকায় বারবার ব্যাচেলর হোটেল সোনালীর নাম আসছে আলোচনায়।

পুলিশকে ম্যানেজ করেইনা-কি তিনি এ কারবার চালাচ্ছেন বলে দাবি কানা তাজু দাবি করেন।

যোগাযোগ করা হলে অবৈধ এ কারবার বন্ধে অচিরেই অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস এম আবু ফরহাদ ।চলমান…!

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন